দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গভীর নিম্নচাপটি আজ সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে। তবে এটি অত শক্তিশালী সাইক্লোন নয়। সাইক্লোনে রূপ নিয়ে এটি ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে ঘুরে যাবে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে, শুক্র ও শনিবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
গত শনিবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়, পরবর্তীতে সেটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ; নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার খবর জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘ফেইনজাল’। নামটি প্রস্তাব করেছে সৌদি আরব।
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ওই ঘূর্ণিবায়ুর চক্র।
তখন গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
পূর্বকোণ/এমটি