চট্টগ্রামের পতেঙ্গা মাদ্রাসা গেট ভিআইপি রোডের জুলেখা ডেইরি ফার্ম থেকে লুণ্ঠিত গরু ও বাছুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হল- নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানা এলাকার সেলিম (৩০) ও কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানা এলাকার মাইন উদ্দিন (২৩)।
জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর রাত ২টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যবর্তী সময়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ডাকাত পতেঙ্গা মডেল থানাধীন মাদ্রাসা গেট ভিআইপি রোডস্থ জুলেখা ডেইরি ফার্মে প্রবেশ করে। তারা ফার্মের সিসি ক্যামেরা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফার্মে কর্মরত কর্মচারী দুইজনকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গামছা দিয়ে হাতমুখ বেঁধে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের নয়টি ফ্রিজিয়ান গরু এবং পাঁচটি বাছুর লুণ্ঠন করে দুইটি পিকআপ যোগে নিয়ে যায়।
পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, লুণ্ঠিত গরু উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সিসিটিভি পর্যালোচনা, বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে কুমিল্লা থেকে মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তাদের দেখানো মতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন নলপানি গ্রামস্থ পলাতক ডাকাত সাদ্দামের বসতঘরের পাশে গোয়ালঘর থেকে লুণ্ঠনকৃত দুটি গরু উদ্ধার করে গত ২৬ নভেম্বর বিকাল ৫টায় জব্দ করা হয়। বাকি ১২টি গরু চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানাধীন আমিরাবাদস্থ খবিরের গোয়ালঘরে আছে বলে তারা জানায়। চট্টগ্রাম জেলার গোয়েন্দা শাখার একটি টিম খবিরের খামারে অভিযান পরিচালানা করে লুণ্ঠিত বাকি সাতটি গরু ও পাঁচটি বাছুর উদ্ধার করে। মামলার বাদী গরুগুলোকে তার নিজের লুণ্ঠিত গরু বলে শনাক্ত করেন। গ্রেপ্তার সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় খুন, ডাকাতি , দস্যুতা ও চুরির ১০টি মামলা রয়েছে। লুণ্ঠনের কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলার পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ