এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেভাবে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আমি শুধু তার নিন্দা করে ক্ষান্ত হতে চাই না। অপরাধী বলে যে ৬ জনকে ইতিমধ্যেই সরকার শনাক্ত করেছে তাদের বিচার চাই।
সাইফুলের রক্তের সঙ্গে যদি আমরা বেঈমানি না করি তাহলে বুঝতে হবে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ বাংলাদেশে একটি দাঙ্গা লাগাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তা কার্যকর করছে।
যারা দাঙ্গা লাগাতে চায় তারাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়াচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিও আমার অনুরোধ সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের আবেগ ও উপলব্ধিকে আমলে নিন। পাল্টা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াবেন না। বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখুন। হিংসা বা দাঙ্গা আমাদের কারোরই পথ হতে পারে না।
তরুণ ছাত্র-জনতাকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যদি দরদের রাজনীতি করবো বলে আমরা অঙ্গীকার করে থাকি তাহলে ঘৃণা-হিংসা পরিহার করতে হবে, অপরকে ‘দানব’ করে তোলা বন্ধ করতে হবে। এবং সমাজের সকল পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ও দ্বন্দ্ব মীমাংসার দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে।
ঘৃণা এবং হিংসা দ্বারা আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারবো না। এমনকি ঔপনিবেশিক কিংবা কোনো প্রকার দমন-পীড়নমূলক আইন দ্বারাও নয়। ‘দরদ’ এর রাজনীতির কথা বলেই তরুণরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছে। তাহলে এখনও আমাদের ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী নাগরিকদের প্রতি দরদ থাকা দরকার। হিংসা ঘৃণা কিম্বা ঔপনিবেশিক আইন দ্বারা তা সমাধান সম্ভব নয়।
কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মাজহারের ফেসবুক থেকে নেওয়া
পূর্বকোণ/এএইচ