চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে ‘ইসকনের হামলায় আইনজীবী নিহতের’ ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা ও শাস্তি দাবি

বিজ্ঞপ্তি

২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:৪৮ অপরাহ্ণ

ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ইসকন সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির, সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।

 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলের, ইসকন সমর্থকরা চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বিচারকদের কক্ষে ও চত্বরে গাড়ি ভাঙচুর এবং মুসলিম হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও আরো ৮-১০ জনকে মারাত্মকভাবে আহত করে। কোর্ট বিল্ডিং জামে মসজিদ, লালদিঘি জামে মসজিদে হামলা ছাড়াও কোতোয়ালী, নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় তারা তাণ্ডব চালায়।

 

নেতৃবৃন্দ এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে এক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় তাকে চট্টগ্রাম আদালতে জামিনের জন্য তোলা হলে সেখানে আগে থেকে ইসকন নামধারী সন্ত্রাসীরা জড়ো হয়। জামিন নামঞ্জুর হলে প্রথমে বিচারকদের কক্ষে হামলা, পরে আশেপাশের এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে। উপস্থিত সাধারণ জনতার ওপর হামলা করতেও তারা দ্বিধা করেনি। ইতিপূর্বেও তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আন্দরকিল্লা হাজারি গলিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর এসিড সন্ত্রাস চালিয়েছিল। তারাই আজ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র আদালত ভবনে হামলা ও পরিকল্পিতভাবে একজন আইনজীবীকে হত্যার মাধ্যমে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে। এই ঘটনায় দেশবাসীর পাশাপাশি গণমানুষের সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উদ্বিগ্ন। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

 

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত একজন হাইপ্রোফাইল বন্দীকে আদালতে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের আরো বেশি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি ছিলো বলেও নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট