হর্ষিত রানার বলে অ্যালেক্স ক্যারির বোল্ড হতেই জয়ের উচ্ছ্বাস শুরু। অষ্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস ২৩৫ রানে থেমে গেছে। আর ২৯৫ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে পাঁচ টেস্টের বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে ভারত এগিয়ে গেল ১–০ ব্যবধানে।
রবিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে ভারত যখন ৫৩৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। তখনই বোঝা গিয়েছিল ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জ। কিন্তু বিকেলেই ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সোমবার পার্থ টেস্টের চতুর্থ দিনের সকালে নেমে আর পাঁচ রান যোগ করেই বিদায় নেন উসমান খাওয়াজা। সিরাজের বলে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচে থামেন খাওয়াজা।
এরপর একটু প্রতিরোধ, তাও বড় কিছু নয়। ৬২ রানের জুটির পর আরেকটি ব্যর্থ ইনিংসের ইতি টানেন স্টিভেন স্মিথ। সিরাজের দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়া স্মিথ করেন ১৭ রান।
হেড নেমে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছিলেন, খেলছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। তবে পাহাড় পেরুনোর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতন কিছুই ছিলো না তা। মিচেল মার্শের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়ে হারের ব্যবধানই কমান তিনি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো হেড ৮৯ করে ফেরেন বুমরাহর বলে। গতি-স্যুইংয়ে কাবু হয়ে দেন কিপারের হাতে ক্যাচ।
৪৭ করা মার্শকে থামিয়ে প্রথম টেস্ট উইকেট নেন নিতিশ রেড্ডি। চা-বিরতির আগে মিচেল স্টার্ককে ফেরানো ওয়াশিংটন সুন্দর বিরতি শেষে তুলে নেন ন্যাথান লায়নকে। আলেক্স কেয়ারিকে বোল্ড করে পরে ইনিংস মুড়ে দেন হারশিত রানা।
পার্থ টেস্টে শুরুতে অথচ দাপট ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারতকে ১৫০ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলো তারা। তবে নিজেরা ব্যাট করতে গিয়ে পড়ে বুমরাহর ঝাঁজে। বিশ্বের এক নম্বর বোলার ৫ উইকেট নিয়ে অজিদের ইনিংস মুড়ে দেন ১০৪ রানে।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠেন ভারতীয় ব্যাটাররা। যশস্বী জয়সওয়াল করেন ১৬১, ১৬ মাস পর সেঞ্চুরি পান বিরাট কোহলি। পাহাড় করে অজিদের ফেরার বাস্তবতা মিইয়ে দেন ভারত। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন বোলাররা।
প্রথম টেস্টে সফরকারীরা জিতেছে ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। ৫৩৪ রানের রেকর্ড পুঁজি তাড়ায় ২৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি অজিরা। দলের হয়ে ওয়ানডে মেজাজে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন হেড। বুমরাহ ও সিরাজ নেন তিনটি করে উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টেস্টে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় রানের জয়। এর আগে ১৯৭৭ সালে মেলবোর্নে ২২২ রানের জয় ছিলো সবচেয়ে বড়।
পূর্বকোণ/পিআর