চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দুই মাদক কারবারিকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলের দিকে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের নজুমিয়াহাট এলাকায় এ সড়ক অবরোধ করেন তারা।
জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে শিকারপুর ইউনিয়নস্থ সওদাগর বাড়িতে স্থানীয় এলাকাবাসীদের উদ্যোগে মাদকবিরোধী এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে অংশ নেয়া ওই এলাকার বাসিন্দা উত্তর জেলা যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হক ডায়মন্ড শনিবার রাতে জানান, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি খাইরুল ইসলামকে সমাবেশে অংশ নেয়ায় মাদকব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা হুমকি দেয়। পরে শনিবার দুপুরের দিকে নজুমিয়াহাট এলাকায় ওই চক্রের তামিম (২৬) ও ইরফান (২৫) নামের দুই সদস্যকে স্থানীয় জনতা আটক করার পর মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের বুঝিয়ে দিতে চাইলেও তারা ওই চক্রের দুই সদস্যকে রিসিভ করেননি। এভাবে হাতের কাছে পেয়েও ওই দুই মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেযার প্রতিবাদে বিকেলের দিকে স্থানীয়রা নেয়ামত আলী রোড়ের সামনে ও বুড়িশ্চর ইউনিয়নের নজুমিয়াহাট এলাকায় চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাদক কারবারি ও তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
অপরসূত্রে জানা যায়, মূলত দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে পূর্ব থেকে রেষারেষি ছিলো। আজকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ইরফান নামের একজন মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ আহতকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এর জেরেই আরেকটি পক্ষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
তবে স্থানীয় কয়েকজন নাম পরিচয় গোপন রাকার শর্তে জানান, ওই এলাকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে দীর্ঘদিন ধরে একটি মাদকের স্পট থাকলেও সেটা বন্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা বা পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তারা দ্রুত ওই এলাকার মাদকবানিজ্য বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানিয়েছেন।
এদিকে বিক্ষোভের কারণে যান চরাচল বন্ধ হয়ে সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে ওই সড়কের যাতায়াতকারী দূর দূরান্তের যাত্রী সাধারণকে চরম ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানাধীন মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেন শনিবার রাতে দিকে জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। আর এখনো পর্যন্ত থানায় এ ধরনের ঘটনায় কেউ লিখিত কোনো অভিযোগও জমা দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পূর্বকোণ/খোরশেদ/জেইউ/পারভেজ