জ্ঞান হচ্ছে শক্তি এবং নূর। জ্ঞানের বিভিন্ন স্তর আছে। আর, জ্ঞানের প্রকাশ ঘটে কর্মের মাধ্যমে। আমাদের অর্জিত জ্ঞান নিজেদের এবং সমাজের কিরূপ কল্যাণ বয়ে আনছে সেটি উপলব্ধি করতে হবে। জ্ঞান কল্যাণ বয়ে না আনলে সেটি আর ‘শক্তি’ থাকে না। মূলত,পবিত্র কোরআনের নির্যাস হচ্ছে মাইজভাণ্ডারী দর্শন তথা বেলায়তে মোতলাকা। বেলায়তে মোতলাকার জ্ঞান অর্জন করতে হবে উপযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়িস্থ শোকর-এ-মওলা মনজিলে জ্যোতি ফোরামের ত্রয়োদশ বর্ষপূর্তি উদযাপন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী গবেষক ও লেখক মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী এসব কথা বলেন।
এতে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হানিফ মিয়া, শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জামী, নাজিরহাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জহির উদ্দীন সিদ্দিকী শাহীন, চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের অফিসার ডা. পঞ্চানন দাশ গুপ্ত এবং ফটিকছড়ি আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আজিজুল হক।
সংগঠনের সভাপতি জয়নাল আবেদীন তাওরাতের সভাপতিত্বে ও শাহরিয়ার ইসতিয়াকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও পূবালী ব্যাংক লিমিটেড মানিকছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন ব্যাংক ফকিরহাট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আজম। সাংগঠনিক কার্যক্রমের ভিডিও প্রেজেন্টেশন ও আর্থিক প্রতিবেদন পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহরিয়ার আসিফ।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জ্যোতি’র ‘৩য় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪’-এর ৪টি বিষয়ে বিজয়ী প্রতিযোগীদের পুরস্কারস্বরূপ ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং শোকর-এ-মওলা মনজিলের মুখপত্র-‘শোকর’ ম্যাগাজিনের ৩য় প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন পর্বে অতিথিমণ্ডলীর সাথে উপস্থিত ছিলেন ম্যাগাজিন প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ সাজীদুল হাসান চৌধুরী ও শোকর-এ-মওলা মনজিল নির্বাহী পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ সজীবুল হাসান চৌধুরীসহ সংগঠনের উপদেষ্টাবৃন্দ। পরে সকলের উপস্থিতিতে কেক কেটে ত্রয়োদশ বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। পরিশেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্য, মিলাদ-কিয়াম, সেমা মাহফিল এবং মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানে জ্যোতি ফোরাম, আশেকানে হক ভাণ্ডারী-শোকর-এ-মওলা মনজিল, গাউছিয়া হক কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণ্য-মান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ