সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে ১২ বছর ধরে চলা আন্দোলনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ৷
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে দুধ দিয়ে গোসল করে কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন শুভ। চাকরির বয়সসীমা ৩২ করা সংক্রান্ত গেজেট এবং ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কপি দুধে চুবিয়ে তা দিয়ে গোসল করেন ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের এই আহ্বায়ক।
গোসলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শরিফুল হাসান শুভ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ১২ বছর আন্দোলন করেছি। কেউ আমাদের কথা শোনেনি, চাকরির বয়স বৃ্দ্ধি হয়নি। অনেক সংগ্রাম করেছি, কুকুরের সঙ্গে শুয়ে শুয়ে অনশন করেছি, মামলা খেয়েছি জেল খেটেছি। এখন সেইসব স্মৃতি ভুলে সরকারের ৩২ বছরের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা কমিটি বিলুপ্ত করে দিচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের এই আহ্বায়ক বলেন, যদি কেউ ভিন্ন নামে ৩২ কে অযৌক্তিক মনে করে তাহলে তারা আন্দোলন করতেই পারে। তবে এতদিন যে ব্যানারে আন্দোলন চলেছে সেটির বিলুপ্তি ঘটাতে আজকে এই কার্যক্রম।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স স্থায়ীভাবে ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল ৩৫-প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ। গত এক যুগ ধরে বিভিন্ন সময়ে তারা এ দাবি নিয়ে রাজপথে নামেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে তা আলোর মুখ দেখেনি।
তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই দাবি জোরালো হয়। এ নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে ২৪ অক্টোবর চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে আন্দোলনকারীরা তা ৩৫ বছর করার দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।
পূর্বকোণ/এএইচ