আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমরা খুব প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেবো। আমরা শুধু এটা চাই না, আগের মতো কোন ভুয়া নির্বাচন হোক। নির্বাচনে কেউ বিজয়ী হয়ে আগের মতো ভুয়া নির্বাচনের সুযোগ পাক। এটা ছাড়া আমাদের আর কোন স্বার্থ নেই।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের পেশায় ফিরে যেতে আগ্রহী। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছর প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের কোন কথাই বলা হয়নি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, যে কেউ ভিন্নমত পোষণ করতে পারে; কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া, মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলা, জিম্মি করা, অসহনীয় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করা, আন্দোলনকারীরা এসব জিনিস যদি অব্যাহত রাখেন, আমি মনে করি সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত। আপনি আন্দোলন করবেন, কিন্তু মানুষকে জিম্মি করতে পারেন না। কাল ট্রেনে ইট মেরে নারী-শিশুকে আহত করা হয়েছে। এটা কী ধরনের আন্দোলন?

তিনি বলেন, আপনি রাতারাতি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দিতে বলবেন, আপনি বলবেন এইচএসসি পরীক্ষা দেবো না, আমার পরীক্ষার রেজাল্ট বদলে দিতে হবে। আমার ধারণা এ ধরনের হয়রানিমূলক, জিম্মিমূলক আন্দোলনের বিপক্ষে সাধারণ জনমত অত্যন্ত শক্তিশালী হচ্ছে।

অন্যায্য আন্দোলনের বিপক্ষে রাষ্ট্র কেন শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্র যদি শক্ত হয়, দুয়েকজন যদি আহত হয়, গ্রেপ্তার হয় তাহলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের কষ্ট তৈরি হবে। আমরা যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নিয়েছি, এখানে অনেক চিন্তা করতে হয়। সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে কিনা সেটা দেখতে হয়।

সরকারকে আন্দোলন পেয়ে বসছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুটা তো পেয়ে বসছে। আপনারা যে এ ধরনের প্রশ্ন করছেন, যখন সবার মধ্যে এই বোধ জাগ্রত হবে, আমরা বেশি ভালোবাসা দিচ্ছি; তখন আমাদের শক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা শক্ত হলে ভালোভাবেই হবো।

পূর্বকোণ/মাহমুদ