চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরও স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাওয়ায় স্বামীর বাড়ি কাথারিয়ায় অনশন করেছেন এক তরুণী।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে স্বামী মোহাম্মদ রিদুয়ানের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন পারিবারিকভাবে রিদওয়ান আমাদের আত্মীয় বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে।
অনশনকারী নারী সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সন্দ্বীপ উড়িরচর ইউনিয়নের শামসুল হক চৌধুরী বাড়ির শামসুল হকের মেয়ে আইরিন আক্তারের সাথে বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলী গ্রামের মাহফুজুর রহমানের ছেলে প্রবাসী মোহাম্মদ রিদুয়ানের পরিচয় হয়। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম নগরের বালুছড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ঘরসংসার শুরু করেন।
বিয়ের এক মাস পর রিদুয়ান পুনরায় দুবাই চলে যান। গত ৭ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরে বালুচড়ায় তার স্ত্রীর ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরবর্তীতে বিয়ের বিষয়টি রিদুয়ান তার বাবাকে ফোন করে জানালে তিনি ছেলে ও পুত্রবধূকে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান।
প্রতিবেশীরা জানান, সোমবার সকাল থেকে রিদওয়ানের গ্রামের ঘরে তালা। বাইরে ঘরের বারান্দায় সিঁড়িতে বসে অনশন করছেন ওই তরুণী।
অনশনরত তরুণী আইরিন আক্তার বলেন, ৬ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে আমাকে বিয়ে করার পর ৫ বছর সংসার করেছে। এখন তার মা-বাবা বিয়েতে সম্মতি দিচ্ছেন না। রিদওয়ান আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে। এই পৃথিবীতে ভাই-বোন কেউ নেই আমার, আছেন অসুস্থ মা-বাবা। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই আমার সামনে। গার্মেন্টসে চাকরি করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছিলাম। তাও সে নিয়ে ফেলেছে।
রিদুয়ানের মা বলেন, এভাবে সব মেয়েদের সাথে ছেলেদের সম্পর্ক থাকে। তিনি ওই মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে হয়নি দাবি করে বলেন, মেয়ে যদি মামলা করে করুক।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, কাথারিয়ার বিয়ের ঘটনা নিয়ে কোন নারী এখনো থানায় কোনও অভিযোগ দেননি। বিষয়টি খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ওই নারীর পক্ষ থেকে যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্বকোণ/অনুপম/পারভেজ