শ্রীলঙ্কার বামপন্থি প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিণী আমারাসুরিয়াকে পুনর্নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিক বিজিথা হেরাথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সাধারণ নির্বাচনে ২২৯ আসনের মধ্যে অনূঢ়ার বামপন্থী জোট ১৫৯টি আসন পেয়েছে। এরপর নতুন করে মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর সুযোগ পান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা থাকলেও নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে দিশানায়েকের একটি শক্তিশালী মন্ত্রী পরিষদ এবং সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল। এই কারণেই নিজের নীতিগুলো বাস্তবায়নে নতুন করে জনসমর্থন পাওয়ার জন্য দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েই নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।
দিশানায়েক বলেন, এই নির্বাচন শ্রীলঙ্কার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা একটি শক্তিশালী পার্লামেন্ট গঠন করা এবং আমার বিশ্বাস জনগণ আমাদের এই সুযোগ দেবে।
কয়েক দশক ধরে শ্রীলঙ্কার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসা পরিবারতান্ত্রিক পার্টিগুলোর বিবেচনায় দিশানায়েকে প্রায় একজন বহিরাগত ছিলেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে সৃষ্ট ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপাকসের শাসনের অবসানের দুই বছর পর নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দেয় শ্রীলঙ্কা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শ্রীলংকার ১ কোটি ৭১ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন দিশানায়েকে। এরপর পার্লামেন্ট নির্বাচনেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পান তিনি। তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা সোমবার শপথ নেবেনে।
তবে এ মন্ত্রিসভায় নতুন কোনো অর্থমন্ত্রী নিয়োগ করেননি তিনি। এ মন্ত্রণালয়টি নিজের অধীনেই রেখে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও এমনটি করেছিলেন দিশানায়েকে, জানিয়েছে রয়টার্স।
শ্রীলংকার ইতিহাসে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী আমারাসুরিয়া। তিনি চার বছর আগে প্রথম সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তার আগে শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে ও চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
পূর্বকোণ/পিআর