গত ১৫-১৬ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিয়োগ, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য আর্থিক দুর্নীতি তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১০ সদস্য বিশিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৪ নভেম্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চবির ৫৫৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে ১২ নভেম্বর ১০ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার ২৫নং সিদ্ধান্তে বিগত প্রায় ১৫-১৬ বছর ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়ে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তা উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য উপাচার্যকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপাচার্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে চবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমানকে সভাপতি করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এসএম সালামত উল্যা ভূঁইয়া, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা আক্তার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাখাওয়াত হুসাইন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোর্শেদুল হক এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন চবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ।
পূর্বকোণ/ইব