চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

চবি সংবাদদাতা

৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১:২১ অপরাহ্ণ

যৌথ বাহিনীর গুলিতে পোশাক শ্রমিক কাউসার ও চম্পার মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ।

 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জিরো পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

 

মিছিল শেষে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা।

 

এ সময়ে বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ২৬ জন পোশাক শ্রমিক শহীদ হয়েছেন। অভ্যুত্থানের বদৌলতে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই খুন হলেন দুইজন পোশাক শ্রমিক কাউসার ও চম্পা। এখানেই শেষ নয়। রাষ্ট্রের গুলিতে নিহত শ্রমিকের এই তালিকা আরও দীর্ঘ। শ্রমিকের আন্দোলনও একদিনের নয়। স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসনে বেতনভাতা, বকেয়া বেতন, বোনাস ও মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন। প্রতিটি আন্দোলনে সরকার ও মালিক পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে হত্যা করেছে শ্রমিকদের। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও শ্রমিকদের প্রতিদিন ছাঁটাইয়ের ভয়ে এখনও কাজ করে যেতে হচ্ছে। শাসক যায়, শাসক আসে, কিন্তু শ্রমিকদের মৃত্যুর মিছিল থামে না। বদলায় না তাদের জীবন। আমরা চাই না এই মিছিল, এই দুর্দশা আরও দীর্ঘ হোক।

 

বক্তারা আরও বলেন, আজ ২৬ জন পোশাক শ্রমিকের আত্মত্যাগের ফসল আমরা ভোগ করছি। একজন মালিক সহজেই ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারে, কিন্তু একজন পোশাক শ্রমিক তার কাজে ফাঁকি দিতে পারে না। শ্রমিক দিনরাত কাজ করে যে সম্পদ তৈরি করে, তার থেকেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্যাক্সের টাকা আসে। এখানকার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা হয় সেই টাকায়। এখানকার শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন হয় সেই টাকায়। আজ যখন তারা যৌক্তিক দাবিতে দাঁড়ানোর কারণে যৌথ বাহিনীর বুলেটের শিকার হচ্ছেন, তখন তাদের দাবির পক্ষে সমর্থন তৈরি করা আমাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেই দায়িত্বের বোধ থেকেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। আপনাদেরও দাঁড়াতে আহ্বান করছি।

 

 

পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট