ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে। তিনি বলেন, এই আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে, সব মামলাও বাতিল হবে।’ শুধু এই আইন নয়, মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে—এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সংস্কারের ক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানান উপদেষ্টা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অফিস কক্ষে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’
রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড বলেন, ‘নরওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থেকে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নরওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও গণমাধ্যমের উন্নয়নে বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।’
রাষ্ট্রদূত সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে। সর্বশেষ পুজোতে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, ছুটি বাড়ানো হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছিল। তারা সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।’ অথচ তাদের আমলেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বড় বড় ঘটনা ঘটলেও বিচার করেনি বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বহির্বিশ্বে নানারকম নেতিবাচক প্রচারণা করা হচ্ছে—এ বিষয়ে সত্য ঘটনা প্রচার করতে নরওয়ের সহযোগিতা কামনা করেন নাহিদ ইসলাম।
পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়ান রাবে ন্যাভেলসউরড-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ