চট্টগ্রাম রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিনিধি সম্মেলন

‘নৈতিকতাপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সকল স্তরের শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’

বিজ্ঞপ্তি

৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭:১৪ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর এক শিক্ষক প্রতিনিধি সম্মেলন চট্টগ্রাম নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

 

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ নুরুন্নবীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ফেডারেশনের অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী জামায়াতের আমীর, সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. সলিমুল্লাহ, প্রফেসর জসিম উদ্দিন খান, ফেডারেশনের দক্ষিণ জেলা সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, উত্তর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর নবী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদ সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদ সভাপতি প্রফেসর ড. শফিউল আলম ভুঁইয়া, কলেজ শিক্ষক পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ফজলুল কাদের, মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ সভাপতি ড. মাওলানা আব্দুল মোতালিব, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদ সভাপতি মো. নুরুল হুদা, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদ সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী, ইবতেদায়ী শিক্ষক পরিষদ সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম আনসারী।

 

সম্মেলনে প্রধান অতিথি বলেন, দেশের সর্বস্তরের শিক্ষকদের নিয়ে এই সংগঠন কাজ করে। শিক্ষকরা সমাজে এখনো অবহেলিত, শিক্ষকরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে দেশের শিক্ষক সমাজসহ শিক্ষা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই উপকৃত হবে।

 

তিনি বলেন, প্রাক প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত আমরা সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। আমাদের দাবি হচ্ছে, দেশের সকল চাকরিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যদি বোনাস থাকে, তাহলে শিক্ষকরা কেন এ থেকে বঞ্চিত হবে। তাই শিক্ষকদের জন্য ১০০ ভাগ বোনাসের দাবি নিশ্চিতের জন্য আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছি, তিনি আমাদের দাবি দাওয়া শুনেছেন। বিশেষ করে বর্তমান শিক্ষাক্রম বাতিল করে আগের পদ্ধতি অনুযায়ী পরীক্ষা বাস্তবায়নসহ গত ১৬ বছরে পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিরোধী যা কিছু সংযোজন করা হয়েছিল তা বাতিলের জন্য আমরা জোর দাবি জানিয়েছি।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ইসলামী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ আব্দুল মালেকের বক্তব্যটি তৎকালীন সময়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। শুধুমাত্র বক্তব্য দেয়ার জন্য চিহ্নিত ইসলামবিরোধী চক্র তাঁকে নির্মমভাবে আঘাত করেছিল। ইসলামী শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠার জন্য আব্দুল মালেক জীবন দিয়েছেন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন এ লক্ষ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দেশের শিক্ষক সমাজসহ আপামর জনতার বিরোধিতার কারণে তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া আদায়ের আন্দোলনে মাদ্রাসা শিক্ষকদেরকেও সংযুক্ত করতে হবে। দেশের হাজার হাজার ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা অবহেলিত, প্রাথমিক শিক্ষকদের সমপরিমাণ বেতনও তারা পান না। তাই এই সরকার যাতে অবিলম্বে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের দিকে নজর দেন সেই ব্যাপারে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

 

অধ্যাপক আহছানুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। বহু শিক্ষক ফ্যাসিবাদী হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ার জন্য নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বৃটিশ-ভারত থেকে প্রণীত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। এই শিক্ষাব্যবস্থা জাতিকে নৈতিকতার দিক থেকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলছে। তাই অবিলম্বে হাসিনার এই শিক্ষানীতি বাতিল করে ইসলামী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে।

 

সম্মেলনে বক্তারা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে নৈতিকতাপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সকল স্তরের শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট