চট্টগ্রাম শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন কমিয়ে দিল ভারতের আদানি গ্রুপ

অনলাইন ডেস্ক

১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:০০ অপরাহ্ণ

বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ।

বৃহস্পতিবার দিনে সংস্থাটির ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে মাত্র ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বুধবার পর্যন্ত গড়ে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতা এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আদানির পাওনা প্রায় ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া দেশের কয়লাভিত্তিক বড় দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র এস আলম ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও উৎপাদন কমেছে।

সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি আদানি পাওয়ারের (ঝাড়খণ্ড) প্রতিনিধি ও যৌথ সমন্বয় কমিটির সভাপতি এম আর কৃষ্ণ বকেয়ার বিষয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি ডলারের জন্য প্রয়োজনীয় এলসি প্রদান করেনি এবং ৮৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের (১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা) বকেয়াও শোধ করেনি। সময়মতো এলসি না দেওয়া এবং বকেয়া পরিশোধ না করায় চুক্তির ব্যত্যয় ঘটেছে, যা আদানি বিদ্যুতের সরবরাহ বজায় রাখতে বাধাগ্রস্ত করছে। বকেয়া পরিশোধ ও এলসির অভাবে কয়লা সরবরাহকারী এবং কেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। চিঠিতে আদানি পিডিবিকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায়। না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে বলেও জানায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আদানির বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে এস আলম গ্রুপ তাদের এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পিডিবির কাছে দুই হাজার কোটি টাকা পাবে। এসএস পাওয়ার ১-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তান ঝেলিং একটি চিঠিতে পিডিবিকে জানিয়েছে, দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করা না হলে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রও কয়লা সংকটের কারণে ইউনিট-২ বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও ইউনিট-১ বর্তমানে গড়ে ৩৫০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করছে। রামপালেরও পিডিবির কাছে বড় অঙ্কের পাওনা জমেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট