শীতের আগাম সবজিতে ভরে উঠছে বন্দরনগরীর বাজার। আর তাতে অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে ১০ সবজির দাম কমার পর এরিমধ্যে দাম কমেছে আরও ছয় সবজির। দাম কমার তালিকায় রয়েছে করলা, কাঁচা মরিচ, গাজর, শিম, মিষ্টি কুমড়া ও পটল। নানামুখী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সবজির দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, কাজির দেউরিসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে ছয় সবজির। এরমধ্যে ১০ টাকা কমে করলা ১৩০, ৪০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ ১৬০, ২০ টাকা কমে গাজর ১৬০, ৪০ টাকা কমে শিম ১৬০ টাকা, ১০ টাকা কমে মিষ্টি কুমড়া ও পটল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পণ্যের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।
নগরীর অক্সিজেন এলাকার বাসিন্দা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অক্টোবরের শুরুতে সবজির দাম এত বেশি ছিল যে একসঙ্গে দুটো সবজি কেনা যেত না। এখনও অনেক সবজির দাম বেশি, তবে কিছু কিছু সবজির দাম কমছে, এটা স্বস্তির। ধীরে ধীরে নাগালের মধ্যে চলে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের পর ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সময়ে কৃষি ওএমএস কার্যক্রম শুরু করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
এরমধ্যে ২৪ অক্টোবর ৬টি সেলস সেন্টারে সবজিসহ নানা নিত্যপয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করে জেলা প্রশাসন। আবার বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে গঠিত টাস্কফোর্সও বাজার তদারকি করছে নিয়মিত। উপজেলা পর্যায়েও শুরু হয়েছে কৃষক বাজার। নানামুখী এমন উদ্যোগের চাপ পড়ছে কাঁচাবাজারে। দাম কমেছে সবজির।
অন্যান্য সবজির মধ্যে বরবটি ৮০, কাঁকরোল ১২০, শসা ৫০-৬০, আলু ৬০, লাউ ৪০-৫০, চিচিঙ্গা ৬০, ফুলকপি ১৩০, বাঁধাকপি ৮০, বেগুন ১০০, টমেটো ১৬০, মুলা ৮০, ছরা ৬০, ঝিঙে ৮০ এবং পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নগরে। এর বাইরে পেঁয়াজ জাতভেদে ৯০ থেকে ১১০, রসুন ২২০ এবং আদা ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে ডিম। অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দাম। বন্দরনগরীতে ব্রয়লার মুরগি ১৯০, দেশি মুরগি ৫২০ এবং সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে ৭৮০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। মাছের মধ্যে পোয়া ২৬০, লইট্টা ২৬০, পাবদা ৫০০, রূপচাঁদা ৬০০, তাইল্লে মাছ আকার ভেদে ৫০০-৭০০, তেলাপিয়া ২২০-২৫০, পাঙাস ১৭০-২০০, রুই ৩৫০-৩৮০, কাতল ৪০০ এবং মৃগেল ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব