চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আহত অটোরিকশা চালক নেজাম উদ্দিন চৌধুরী (৪৮) মারা গেছেন। দুর্ঘটনার সাড়ে ৪ মাস পর বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভোর ৬টায় নিজ গৃহে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গত ১৫ জুন রাত ১১টার দিকে রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজারের পশ্চিমে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নেজাম উদ্দিন চৌধুরী রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল গণি চৌধুরীর বড় ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই সাইফুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার বড় নেজাম উদ্দিন চৌধুরী অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি গরু পালন করত। গত কোরবানির সময় পিংক সিটি-২ এর ২৪ ঘণ্টার পশুর হাটে গরু নিয়ে যায়। গত ১৫ জুন রাত ১১টার দিকে বাজারে গরু রেখে বাড়ি ফিরছিলেন। পাহাড়তলী চৌমুহনী পৌঁছালে কয়েকজনকে গরুর বাজারের দিকে যেতে দেখে। এই সময় গরু চুরি ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে ঐ লোকগুলো প্রতি তার সন্দেহ জাগে। তাই পুনরায় গাড়ি ফিরিয়ে গরুর বাজারের দিকে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল তার গাড়ি সম্মুখে বাম দিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে নোয়াপাড়া পাইওনিয়ার হাসপাতালের সামনে নিয়ে ফেলে রাখে। আমি সংবাদ পেয়ে তাকে এম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার মাথায় ৭টি সেলাই এবং বাম পা ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায়। মাসখানেক চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসি। মাসখানেক পূর্বে নগরীর সার্জিস্কোপ-২তে লক্ষাধিক টাকা খরচে অপারেশনের মাধ্যমে তার পায়ে রড লাগানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসি। এর মধ্যে চিকিৎসালয়ে আসা-যাওয়ার মাধ্যমে তার চিকিৎসা চলছিল। বুধবার সকালে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, তার স্ত্রী না থাকায় তার সবকিছু গাড়িতেই রাখত। দুর্ঘটনার সময় দুই ভড়ি স্বর্ণ ছিল। তাও লুট হয়ে যায়। তার গাড়িটি চুয়েট পুলিশ ফাঁড়িতে জব্দ ছিল। একইদিন বিকেল ৫টায় স্থানীয় মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে দাফন- কাফনের কাজ সম্পন্ন হয়।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ