কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত কালুরঘাট সেতু দিয়ে দীর্ঘ ১৪ মাস পর পারাপার করছে যানবাহন। এজন্য দিতে হচ্ছে না কোনো প্রকার টোল। তবে একমুখী সেতু হওয়ায় দুই প্রান্তে হচ্ছে যানজট। সংকেত না মেনে দুই প্রান্ত থেকে গাড়ি সেতুতে উঠে পড়লে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
তবে সংস্কারের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এ সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন সেতু ব্যবহারকারীরা। সেতুটি সংস্কারকালে ফেরি দিয়ে নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী সাধারণ ও গাড়ির চালকদের। এ সেতু দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী-পটিয়ার কর্মজীবী মানুষ নগরে যাতায়াত করেন। পুরোনো সেতু নতুনরূপে চালু হওয়ায় নগর যাতায়াতে কিছুটা ভোগান্তি কমলেও সদ্য একনেকে পাস হওয়া নতুন সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সেতু পারাপারকারী জনগণ।
বোয়ালখালী উপজেলার হাজি আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান মোহাম্মদ আলী বলেন, জীবনের অর্ধেক সময় কালুরঘাট সেতুতেই কেটে গেছে। কর্মজীবী মানুষ ঠিক মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেন না যানজটের কারণে। রোগী হাসপাতালে আনা নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের ছুটতে হয় সময় মতো। জরুরি প্রয়োজনের সময় পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হয়। সেতুটি সংস্কার করে যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়ায় ভোগান্তি কিছুটা কমলেও দুই প্রান্তে যানজট হবে বলে জানিয়েছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মো. মফিজ। তিনি জানান, একমুখী সেতু দিয়ে ট্রেন ও গাড়ি চলাচল করছে যুগ যুগ ধরে আসা একই নিয়মে। ফলে বহুমুখী নতুন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েই গেল।
জানা গেছে, এ সেতু দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারগামী ট্রেন, দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের ফার্নেস অয়েলবাহী ওয়াগন ট্রেন চলাচল করে। গতকাল (২৭ অক্টোবর) সকালে কালুরঘাট সেতুতে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর দুই প্রান্তে দেওয়া হয়েছে ৮ ফুট উচ্চতায় প্রতিবন্ধক। এ প্রতিবন্ধকের কারণে ৮ ফুটের বেশি উচ্চতার গাড়ি সেতুতে উঠতে পারবে না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, যান চলাচলের জন্য উপযোগী করে সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বড় বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধে সেতুর দুই প্রান্তে ৮ ফুট উচ্চতায় স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক কন্ট্রোলের জন্য সেতুর দুইপ্রান্তে সার্বক্ষণিক গেটম্যান নিয়োজিত রয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব