রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে হত্যা মামলার আসামিকে গণধোলাই থেকে বাঁচাতে গিয়ে জনতার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে হত্যা মামলার আসামিসহ তিনজন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১০টায় ওই উপজেলাধীন বারঘোনার কেপিএম ফকিরাঘোনা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) কাপ্তাই থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হল- হত্যা মামলার আসামি মো. সোহেল পাটোয়ারী প্রকাশ ভাঙা সোহেল, তার ভাই মো. সোহাগ ও মো. আলী আকবর জিসান। গ্রেপ্তারদের কাপ্তাই থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মো. সোহেল পাটোয়ারি কাপ্তাইয়ের খলিল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। সে জেল থেকে জামিনে বের হয়ে একটি দলের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১০ টায় কেপিএম ফকিরাঘোনা এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যা মামলার আসামি মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রকাশ গালকাটা শাহাদাতকে এলাকার লোকজন মারধর করতে থাকে। এ খবর পেয়ে সোহেল পাটোয়ারী কয়েক সঙ্গী নিয়ে শাহাদাতকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়রা তাদের গ্রেপ্তার ও গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশম বাগানের পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের পাশে গলা কেটে হত্যা করা হয় ইব্রাহিম খলিল নামের এক ব্যক্তিকে। আলোচিত এই এঘটনায় ২১ এপ্রিল ২০১৮ সালে ভিকটিম খলিলের ভাই কাপ্তাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি শাহাদাত হোসেন এবং ২ নম্বর আসামি সোহেল পাটোয়ারীর নাম রয়েছে।
পূর্বকোণ/কবির/জেইউ/পারভেজ