কক্সবাজারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সুদীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অনন্য অবদান রেখে যাচ্ছেন ‘আহমদ আলী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা’। চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ শ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) চকরিয়া গ্রামার স্কুল কেন্দ্রে এবং পেকুয়া পূর্ব মেহেরনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরেও দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে চকরিয়া গ্রামার স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ৯ শ ৮৫ জন শিক্ষার্থী। অপরদিকে পেকুয়া উপজেলার পূর্ব মেহেরনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ শ ৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।
পরীক্ষায় প্রাথমিক বিদ্যালয় শাখার ৩য় শ্রেণি, ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬ষ্ট শ্রেণি, ৭ম শ্রেণি ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। এছাড়া মাদরাসা বিভাগের প্রাথমিক শাখা থেকে ৪র্থ, ৫ম, এবং ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
চকরিয়া গ্রামার স্কুল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাওলানা কফিল উদ্দিন এমএ জানান, ১৯৮৯ সালে পেকুয়া উপজেলার পূর্ব মেহেরনামা বহুমুখী পল্লী উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এলাকায় নানা ধরনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে কাজ করে যাচ্ছেন। তারমধ্যে দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা নির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে বৃত্তি পরীক্ষা অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে শিক্ষার্থীদের মেধাবী ও আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বহুমুখী পল্লী উন্নয়ন সংস্থা আয়োজনে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অত্যন্ত স্বচ্চতা ও সুচারুভাবে এ বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরেও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তান নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে যে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।
পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন আহমদ আলী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মৌলানা মোহাম্মদ ইলিয়াছ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মৌলানা মোরশেদুল আলম, মাস্টার শাহাদাত হোছাইন, মাস্টার তৌহিদুল ইসলাম, আবু তৈয়ব ও নুরুল আবচারসহ বৃত্তি পরিচালনা কমিটি এবং সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
পূর্বকোণ/এমটি/পারভেজ