সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে ২২ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। ৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ইংরেজিতে।
গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত ফলাফলে যারা অকৃতকার্য হয়েছেন অথবা আশা অনুযায়ী ফলাফল পাননি তারাই শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত সময়ে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। গত ১৬ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্বোড সূত্রে জানা যায়, পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৩২৪ জন। এরমধ্যে ইংরেজি ১ম পত্রে আবেদন জমা পড়েছে ১৪ হাজার ৯৪২টি এবং ইংরেজি ২য় পত্রে ১৪ হাজার ৯৪২টি।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পুনঃনিরীক্ষণের জন্য যারা আবেদন করেছে তাদের উত্তরপত্রে নম্বর যোগ বা উঠানোর ক্ষেত্রে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধন করে পুনরায় ফল প্রকাশ করা হবে।’ গত ১৫ অক্টোবর সারাদেশে এক যোগে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়। তাতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ। এবছর এক লাখ ৬ হাজার ২৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নিয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৪১৬ জন। তার মধ্যে পাস করেছেন ৭৪ হাজার ১২৫ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী।
কোভিড মহামারীর পর গতবছরই প্রথমবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছিল। আর এ বছর সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং সরকার পতনের পরের ঘটনাপ্রবাহের কারণে। যে পরীক্ষাগুলো হয়নি, সেগুলোর ক্ষেত্রে এসএসসির নম্বর বিবেচনায় নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে করা হয়েছে মূল্যায়ন।
পূর্বকোণ/ইব