বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি উত্তর আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপটি ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এর গতিপথ কী হবে এবং কোথায় আঘাত করতে পারে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘ডানা’। এর অর্থ, স্বাধীনতা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (২১ অক্টোবর) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। একইসঙ্গে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে দু’দিন বৃষ্টি কম হলেও বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, এখন পর্যন্ত এতটুকু বোঝা যাচ্ছে। একটা আশঙ্কা রয়েছে।
একই কথা জানান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, লঘুচাপের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর গতিপথ কী হবে, কতটা শক্তিশালী হবে, সেটা পরে জানা যাবে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২০০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি মঙ্গলবার নিম্নচাপ, বুধবার দুপুরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ ও একইদিন সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। এর আগে যে পথে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ স্থলভাগে আঘাত করে অগ্রসর হয়, ঠিক একই পথে এবারের ঘূর্ণিঝড় এগোবে বলে জানান তিনি।
অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ স্থলভাগে আঘাত করার ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে সর্বোচ্চ শক্তি অর্জন করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ‘ডানা’ নামটি কাতারের দেওয়া।
পূর্বকোণ/মাহমুদ