টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদে স্মার্ট কার্ড নিতে গিয়ে ভবনের সিঁড়ির রেলিং ভেঙে ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন ভবনের সামনের সিঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ৩ জনকে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গুরুতর আহতরা হলেন- মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে সোলতান হাকিম, মৃত নুর আহমদের মেয়ে ছাদিয়া ও মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে এমদাদুল্লাহ।
জানা যায়, হ্নীলা ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলছিল। ওয়ার্ডভিত্তিক মহিলা সকালে ও পুরুষ বিকালে সময় নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। পুরুষরা তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই চলে আসেন। তাড়াহুড়া করে একসঙ্গে কার্ড নিতে গেলে ভবনের উপরে ওঠার সময় শৃঙ্খলার স্বার্থে চৌকিদারের তাড়া খেয়ে নামতে গিয়ে সিঁড়ির রেলিং ভেঙে শতাধিক মানুষ নিচে পড়ে যান। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হন।
হ্নীলা মৌলভীবাজার ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বশির আহাম্মদ জানান, আমার ওয়ার্ডের স্মার্ট কার্ড নিতে আসা মানুষকে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা চৌকিদার লাঠিচার্জ করে বেশি আহত করেছেন, যা কাম্য নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিক বলেন, স্মার্ট কার্ড নিতে আসা আমার চাচা, ভাই ও কয়েকজন এলাকার লোক বেশি আঘাত পেয়েছেন। তবে ৩ জনকে দ্রুত কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, স্মার্ট কার্ড নিতে আসা লোকজন তাড়াহুড়া করাতে সিঁড়ির রেলিং ভেঙে কিছু মানুষ পড়ে আহত হয়েছেন। আমাদের কার্যক্রম প্রতিদিন যথাসময়ে চলবে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সেজন্য থানা থেকে পুলিশের একটি টিম পরিষদে নিয়োজিত আছে। তারপরও কেউ বেআইনি কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বকোণ/পারভেজ