কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জাপান সরকারের ঋণে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিকাল ৩টায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গতকাল ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৭৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১৬ হাজার ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৬৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
উপদেষ্টা বলেন, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের অর্থায়নকে সরকার প্রাধান্য দেবে। কারণ কোন দেশ এটি নির্মাণ করবে তা নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। সব যাচাই-বাছাই শেষে জাপানকে নিরাপদ মনে করছে বর্তমান সরকার। তাদের ঋণের শর্ত ভালো। প্রকল্পে অনিয়ম হলে তা বিচারের জন্য দেশটিতে আইনি কাঠামোও বেশ শক্ত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদের প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ওই সরকারের আমলেই প্রকল্প এক দফা সংশোধন করা হয়। ওই সময় প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ১৭ হাজার ৮০৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা করা হয়।
সর্বশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সোমবার দ্বিতীয় সংশোধনী আকারে প্রকল্পটি নতুন করে অনুমোদন দিল। সংশোধিত প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ১৭ হাজার ৯৬৯ কোটি ৫৮ লাখ। সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৬৫৫ কোটি ৬২ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২ হাজার ৮৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
পূর্বকোণ/ইব