দেশে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ৫০ লাখ ডিম আমদানির সরকারি ঘোষণার আওতায় এবার তৃতীয় চালানে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এলো আমদানি করা ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম।
এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয়। এর দ্বিতীয় চালানে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আসে গত ৯ সেপ্টেম্বর। সরকারী ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আজ তৃতীয় চালানে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগীর ডিম।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ভারত থেকে এই ডিম আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, আমদানি করা ১ হাজার ১০৪ প্যাকেজ ডিমের ইনভয়েস মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা ৭০ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ এক টাকা ৮৩ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রায় সাড়ে ৭ টাকার মতো।
ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রফতানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করার জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল ।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনও যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে। তা ছাড়া দৃশ্যমান কোনও সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ওথেলো চৌধুরী বলেন, সব আনুষ্ঠানিকতার পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে।’
পূর্বকোণ/পারভেজ