কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মনির খানসহ দু’জনের নামে মামলা করা হয়েছে এবং মোহাম্মদ শরীফ নামে এক যুবককে আটক করেছে জনতা।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক মোহাম্মদ শরীফ কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের পশ্চিম জুমছড়ির মোহাম্মদ হাছনের ছেলে। আর মনির খান হলেন খুরুস্কুল ইউনিয়নের তেতৈয়া সওদাগরপাড়ার গুরা পুতুর ছেলে। তিনি আন্দোলনের সময় অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানা যায়। তারা কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বাবুলের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।
এবিষয়ে পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক বাবুল পূর্বকোণকে বলেন, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার পরে আমাকে ফোন দিয়ে উত্তর বনবিভাগের ডিএফও অফিসে আসেন মনির নামে এক সমন্বয়ক। তিনি আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ও দুর্নীতির বেশ কিছু নিউজের কথা বলে মানববন্ধন করার হুমকি-ধমকি দেন। আমি তার কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা নিউজ প্রমাণসহ জানতে চাইলে তিনি দেখাননি। একপর্যায়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহ বনবিভাগ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা বলেন। এসব থেকে বাঁচতে চাইলে আমাকে কিছু খরচাপাতি বাবদ ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে আমি তার কথা শুনে বিতর্কে না গিয়ে এই বিষয়ে পরে জানানো হবে বলে আলাপ শেষ করি।
এরপর থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে তার সাথে কয়েকবার কথা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর আমাকে তার মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে শরিফ নামে একজনকে আমার অফিসে পাঠানোর কথা বলেন এবং তার সাথে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে ফোন কেটে দেন।
ফারুক বাবুল আরও বলেন, পরে গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত শরীফ পিএমখালী চেরাংঘাট বাজার এলাকায় এসে আমার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মনির তাকে পাঠিয়েছেন বলে জানান।
রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক বাবুল আরও জানান, তবে সরাসরি মোবাইল ফোনে টাকা চাওয়ার অডিও রেকর্ড বা ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি যেহেতু হোয়াটসএপে প্রায়সময় কথা হতো মনিরের সাথে। তবে ফোনালাপে শরীফকে পাঠানোর অডিও রেকর্ড আছে তা নিশ্চিত করেন।
পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ