চট্টগ্রাম রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

যানজট নিরসনে মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন নিবন্ধন বন্ধের সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক

৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৩:২০ অপরাহ্ণ

রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে এই মুহূর্তে মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন নিবন্ধন বন্ধ করাসহ ১২ দফা সুপারিশ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

 

রবিবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ জানান সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ‘গণপরিবহন সংকট ঢাকার ভয়াবহ যানজটের মূল উৎস-মুক্তি চায় নগরবাসী’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

সমিতির অন্যান্য সুপারিশগুলো হলো- উন্নত সিটিবাসের ব্যবস্থা করা, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে বাসের জন্য প্রাধিকার লেনের ব্যবস্থা করা; রাজধানী ঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক করিডোর থেকে প্যাডেলচালিত রিকশা, ইজিবাইকসহ ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা; ফুটপাত দখলমুক্ত করা, ফুটপাতে স্বাচ্ছন্দ্যে পথচারী যাতায়াতের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে সড়কের মিডিয়ানে উড়াল ফুটপাত তৈরি করা; ট্রাফিক সিগন্যাল ডিজিটাল করা, আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম উন্নত বিশ্বের মতো ক্যামেরা পদ্ধতি চালু করা। জরিমানার অর্থ পরিবহন মালিক-চালকের ব্যাংক হিসাব থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করা; প্রধান সড়কে বাইক পার্কিং, লোডিং, আনলোডিং বন্ধ করা, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা এবং যত্রতত্র হাততুলে রাস্তা পারাপার বন্ধ করে জেব্রা-ক্রসিং, ফুটওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।

 

এছাড়া যানজট সমস্যা চিহ্নিত করা ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ডিটিসিএ, ডিএনসিসি, ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে ৪ থেকে ৬ সদস্যের একটি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক নগরজুড়ে যানজট পরিস্থিতি মনিটরিং করে তাৎক্ষণিক সমাধান দেবে এমন একটি অভিজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা; ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলো যানজটমুক্ত রাখার উপায় বের করা।

 

বিকল্প সড়কগুলো ব্যবহারে ট্রাফিক নির্দেশনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার যানজটমুক্ত করতে গুলিস্তান পার্ককে অস্থায়ী টার্মিনাল বানানো, কারগরি দিক বিবেচনা করে রাজধানীতে প্রবেশমুখী র‍্যাম্প বাড়ানো; বৈজ্ঞানিক পন্থায় গবেষণা করে ২ বা ৩ লেনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর ৩ বা ৪ লেনের বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা এবং বাস দাঁড়ালে যানজট হয় না, সমীক্ষা চালিয়ে এমন স্পটগুলো খুঁজে খুঁজে নগরজুড়ে ৩০০ বাসস্টপেজের ব্যবস্থা করা। এসব বাসস্টপেজে যাত্রী ওঠা-নামা বাধ্যতামূলক করা। ইতোমধ্যে তৈরি করা বাস-বে গুলো জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী ওঠা-নামায় ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট