চট্টগ্রাম শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

আদানিসহ ১১ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য চেয়েছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক

৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ১১:০৪ অপরাহ্ণ

ভারতের আদানি পাওয়ারসহ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত ১১টি চুক্তি খতিয়ে দেখবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের চুক্তি পর্যালোচনায় গঠন করা জাতীয় রিভিউ কমিটি।

 

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, কমিটি ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কিত সব নথিপত্র তলব করেছে।

 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১) এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনায় এ কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এর সবগুলোই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার এ কমিটিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের অভিযোগ জমা দিতে একটি গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে সরকার।

 

পর্যালোচনার আওতায় আসা এসব চুক্তিতে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার তাদের আস্থাভাজন ও সুবিধাভুগীদের অধিক মুনাফার সুযোগ করে দেয় বলে বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করে আসছেন।

 

যেসব চুক্তি পর্যালোচনা করা হচ্ছে সেখানে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে আদানি পাওয়ারের নির্মিত প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন গোড্ডা পাওয়ার প্লান্টও রয়েছে।

 

আদানির সঙ্গে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি কখনও উন্মুক্ত করেনি সরকার। তবে আদানি থেকে কেনা বিদ্যুতের দাম কখনও কখনও ভারত থেকে জিটুজি ভিত্তিতে কেনা বিদ্যুতের চেয়ে দ্বিগুণ বলে সমালোচনাকারীরা বলে আসছেন।

 

পর্যালোচনার তালিকায় থাকা চুক্তির মধ্যে রয়েছে মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট, বাঘাবাড়ি ২০০ মেগাওয়াট, পটুয়াখালী ১০০ মেগাওয়াট, মোংলা ১০০ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট, মানিকগঞ্জ ১৬২ মেগাওয়াট, কড্ডা ৩০০ মেগাওয়াট, সুন্দরগঞ্জ ২০০ মেগাওয়াট, লালমনিরহাট ৩০ মেগাওয়াট ও সুতিয়াখালী ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা ও সরবরাহের চুক্তি।

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গত ৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনায় এ জাতীয় কমিটি গঠন করে।

 

হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী কমিটির আহ্বায়ক।

 

সদস্য হিসেবে রয়েছেন- বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজি বাংলাদেশ’র সাবেক সিওও ফেলো চার্টার্ড একাউন্টেন্ট (এফসিএ) আলী আশফাক, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনোমিস্ট জাহিদ হোসেন এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ফ্যাকাল্টি অব ল অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক (অর্থনীতি) মোশতাক হোসেন খান।

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট