চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম চেম্বার প্রশাসকের মেয়াদ বাড়লো আরও ৯০ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সংস্কারে নিযুক্ত প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশার নির্ধারিত ১২০ দিন মেয়াদের অতিরিক্ত আরো ৯০ দিন মেয়াদ বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব অমিত দেব নাথ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অতিরিক্ত ৯০ দিন মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি জানান।

 

চট্টগ্রাম চেম্বারকে পরিপূর্ণ সংস্কারে প্রশাসকের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে দাবি তুলেছিলেন চট্টগ্রামের সচেতন ব্যবসায়ী সমাজের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নুরুল হক। তিনি বলেছিলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার সংস্কার করতে হলে প্রথমেই বিদ্যমান ভোটার তালিকা সংস্কার করতে হবে এবং বঞ্চিত প্রকৃত ব্যবসায়ী যারা চট্টগ্রাম চেম্বারের সদস্য হতে পারেনি তাদের সদস্য করতে হবে। তাদেরও ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় ‘চট্টগ্রাম চেম্বারের মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন’।

 

কারণ এই নিয়ম অনুযায়ী নতুন সদস্যদের ভোট দিতে হলে অবশ্যই তাদেরকে ভোট গ্রহণের তারিখ থেকে ১২০ দিন পূর্বে সদস্য হতে হবে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসককে যে নির্ধারিত ১২০ দিন মেয়াদ দেওয়া হয়েছিল সেই মেয়াদে এটি সম্ভব নয়। তাই চট্টগ্রাম চেম্বারের ভোটার তালিকা সংস্কারের জন্য প্রশাসকের মেয়াদ আরো ১২০ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের সচেতন ব্যবসায়ী সমাজ। ওই দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসক তার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তারই প্রেক্ষিতে এবার ৬০ দিন মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

 

এস এম নুরুল হক পূর্বকোণ বলেন, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন পর্যায়ের সংস্কারের দাবি উঠে। তখন দেশের বাণিজ্যের স্বার্থে আমরা চট্টগ্রামের সচেতন ব্যবসায়ী সমাজের ব্যানারে প্রথম সমাবেশ করে কমিটির সকলের পদত্যাগ দাবি করে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানাই। তারই প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী সমাজের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সভাপতিসহ সকল পরিচালকগণ পদত্যাগ করেছেন। তবে পদত্যাগই আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা চাই পুরোপুরি সংস্কার। এজন্য এই ব্যবসায়ী সংগঠনে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাই সদস্য হিসেবে থেকে যেন ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে তার দাবি তুলেছি।

 

তাই সবার আগে বর্তমানে যারা সদস্য রয়েছে তাদের ব্যবসায়িক কাগজপত্র যেমন ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্যাট ইত্যাদি কাজগপত্র যাচাই-বাছাই করে সদস্যপদের সংস্কার করা হোক। কারণ দীর্ঘদিন প্রকৃত অনেক ব্যবসায়ী সদস্যপদ পায়নি। সেখানেও পছন্দের অনেককে ব্যবসা না থাকার পরেও সদস্য করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী এবং এতোদিন বঞ্চিত ছিল তাদের চট্টগ্রাম চেম্বারে সদস্য করা উচিত। এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশাসকের মেয়াদ বৃদ্ধি করায় সেই সংস্কারের কাজটি সহজ হয়েছে। প্রয়োজনে প্রশাসকের মেয়াদ আরো বাড়ানো হোক বলে দাবি রেখেছেন এস এম নুরুল হক।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট