চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

চবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে বাঁচাতে ছুটে এলেন ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক

চবি সংবাদদাতা

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:২৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু বকর ত্বহা। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বাংলার মুখের প্রধান নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত ছাত্রলীগ ক্যাডার হিসেবে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারধরে উস্কানি, অতীতে হল দখল, চাঁদাবাজিসহ অজস্র অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ত্বহাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসলে তাকে বাঁচাতে দলবলসহ ছুটে আসেন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন।

 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এই ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা ত্বহার বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই আন্দোলনকারীদের মারধরের অভিযোগ আনেন। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে ত্বহাকে ছেড়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। ত্বহাকে বাঁচাতে আসা ছাত্রদল নেতা ইয়াসিন সম্পর্কে তার বড় ভাই। তাদের বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রহরি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। মুচলেকা দিয়ে রফিকুল ইসলাম ছাত্রলীগ ক্যাডার ত্বহাকে নিজের জিম্মায় নিয়ে নেন। তবে ছাত্রলীগ ক্যাডার কে বাঁচাতে ছাত্রদল নেতার ছুটে আসা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে একজন লিখেন, এভাবেই ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ একে অন্যের অন্যায়ে পাশে থাকে। অন্যায় করা সত্ত্বেও ত্বহা এখন পার পেয়ে যাবে।

 

ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন পূর্বকোণকে বলেন, আমরা সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম। এখানেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছি। আমি বলেছি যদি তার বিরুদ্ধে কোন অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কাউকে বাঁচাতে আমি যাইনি।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী বলেন, অভিযুক্ত ত্বোহা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের উচ্চমান সহকারী হিসাবে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য আজকে প্রশাসনিক ভবনে এসেছিলেন। এ সময় তাকে আমরা ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। মূলত সে গত ১৪ জুলাই জিরো পয়েন্ট এলাকায় শিক্ষার্থী হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল। সেই সাথে তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলার মুখ বগির লিডার ছিলেন।

 

নাট্যকলা বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী রিজাউর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ত্বোহা ১৪ জুলাই রাতে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী সুমনকে হামলার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। এরই প্রেক্ষিতে আমরা তাকে প্রক্টর আফিসে নিয়ে আসি এবং পরবর্তীতে তার বাবার থেকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আবু ত্বহা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অনেক অভিযোগ ছিলো। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে প্রক্টর অফিসে আনা হয়। তার বাবা নিরাপত্তা দপ্তরের প্রহরি। তাকে বর্তমানে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট