চট্টগ্রাম শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুক হামলা, ১৫ নারীসহ নিহত অন্তত ১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১:৪৬ অপরাহ্ণ

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই নারী। দেশটির প্রত্যন্ত একটি শহরে পাশাপাশি দুটি বাড়িতে হওয়া এই হামলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

 

পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্রত্যন্ত শহরে কাছাকাছি অবস্থিত দুটি বাড়িতে বন্দুক হামলার ঘটনায় ১৫ জন নারীসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন।

 

শনিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র এথলেন্ডা ম্যাথ বলেছেন, সন্দেহভাজন অপরাধীদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে।

 

আল জাজিরা বলছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের লুসিকিসিকি শহরে গুলিবর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, পাশাপাশি অবস্থিত দুটি বাড়িতে গুলি চালানো হয়েছে।

 

পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাড়িতে ১২ জন নারী ও একজন পুরুষ এবং অন্য বাড়িতে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ নিহত হয়েছেন। চার নারী, একজন পুরুষ ও দুই মাসের একটি শিশু বেঁচে গেছে।

 

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, হামলার সময় ওই লোকেরা একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, তবে হত্যার উদ্দেশ্য ঠিক কী তা এখনও অজানা রয়ে গেছে।

 

পুলিশমন্ত্রী সেনজো মুচুনু শনিবার এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, দায়ী ব্যক্তিদের খোঁজে গোয়েন্দা এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই মামলার রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীদের খুঁজে বের করতে যে দলটি মোতায়েন করা হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। হয় তারা (অপরাধীরা) নিজেরাই নিজেদের হস্তান্তর করবে অথবা আমরাই তাদের ধরে নিয়ে আসব।

 

জাতীয় পুলিশ প্রধান ফ্যানি মাসেমোলা এসএবিসি পাবলিক টেলিভিশনে বলেছেন, আমরা (হামলার) উদ্দেশ্য জানি না এবং আমরা জানি না যে এই ঘটনায় একজন বা একাধিক সন্দেহভাজন জড়িত আছে কিনা।

 

পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া সরকারি অপরাধ পরিসংখ্যান অনুসারে, ৬ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় এই বছরের প্রথম ছয় মাসে ১২ হাজার ৭৩৪টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৭০টিরও বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মূলত আগ্নেয়াস্ত্রই এসব ক্ষেত্রে মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন