আলোচনা-সমালোচনা যেন মার্টিনেজের পিছু ছাড়ছেনা। ক্যারিয়ারে অর্জন যেমন আছে তেমন আছে সমালোচনার ঝুড়ি। চলতি মাসে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে হারের পর ক্যামেরাম্যানের সরঞ্জামে আঘাত করলে সমালোচনার ঝড় উঠে।
আপত্তিকর আচরণ ও ফিফার ফেয়ার প্লে নীতি ভাঙার কারণে তাঁকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফার শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটি। এ কারণে আগামী ১১ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এবং ১৬ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ মিস করবেন মার্তিনেজ।
আলাদা দুটি ঘটনার কারণে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে মার্তিনেজকে। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের প্রথম শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনাটি ঘটেছিল ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির বিপক্ষে জেতা ম্যাচে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে অশালীনভাবে উদ্যাপানে অঙ্গভঙ্গি করেন মার্তিনেজ। একই ধরনের উদ্যাপন তিনি করেছিলেন ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ গোল্ডেন গ্লাভস পাওয়ার পর। তবে এবারের উদ্যাপনে মার্তিনেজের আচরণবিধি ভাঙার প্রমাণ পেয়েছে ফিফা, যার ফলাফলস্বরূপ মিলেছে এই নিষেধাজ্ঞা।
মার্তিনেজ শৃঙ্খলাভঙ্গের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ১১ সেপ্টেম্বর কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। সেদিন ম্যাচ হারার পর ক্যামেরা অপারেটরের সরঞ্জামে ধাক্কা দেন। পরবর্তী সময়ে জনি জ্যাকসন নামের সেই অপারেটর কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি মার্তিনেজের হাতে ‘লাঞ্ছিত’ হয়েছেন এবং এ ঘটনায় তিনি ‘খুবই ক্ষুব্ধ’।
এদিকে মার্তিনেজের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় কথা বলেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। ফিফার শাস্তি নিশ্চিত হওয়ার আগে খেলোয়াড় ও অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের পক্ষ তুলে ধরেছিল বলে জানিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছে, ‘এটি উল্লেখ করা উচিত যে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্নমত প্রকাশ করে’।
পূর্বকোণ/এএইচ