রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের শারজাহ ফুজাইরাহ সীমান্তবর্তী কালবায় নির্মাণাধীন একটি স্কুল ভবনের ছাদ ধ্বসে দুই বাংলাদেশিসহ অন্য এক পাকিস্তানি নিহত এবং আরো ২ আরব ভাষাভাষী নাগরিক আহত হন। সবাই কাজের মধ্যাহ্ন বিরতিতে বিশ্রাম গ্রহণের সময় নির্মাণাধীন একটি স্কুল ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়লে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন।
নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন আবদুস সামাদ (৪৩) পিতা-মোহাম্মদ রফিক, বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কুরবানপুর ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজার এবং অন্যজন হলেন ফরিদ হোসেন ইমেল (৩১),পিতা বেলাল হোসেন, বাড়ি-নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পূর্ব শোশালিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাশঘড়িয়ায়। দুজনই ফুজাইরাহর আল হিল সানাইয়া এলাকায় থাকতেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২-০৫টায় বিমানের দুবাই-সিলেট ফ্লাইটে করে দূর্ঘটনার দীর্ঘ ১৮ দিন পর আবদুস সামাদের লাশ সিলেট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হয়ে মৌলভিবাজারে পরিবারের কাছে যাবে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭-০০টায় লাশ সিলেট পৌঁছার কথা আছে।
অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় অপর নিহত ফরিদ হোসেন ইমেল এর লাশ আগামী শনিবার আমিরাত সময় সকাল ৯-০০টায় শারজাহ থেকে ঢাকা পৌঁছানোর কথা আছে।
দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ অবশেষে দেশে যাওয়ায় তাদের আত্মীয় পরিজন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।