চট্টগ্রাম বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

থাইল্যান্ডে ১২৫টি কুমিরকে বিদ্যুতায়িত করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪:০৩ অপরাহ্ণ

থাইল্যান্ডের একটি খামারে ১২৫টি কুমিরকে বিদ্যুতায়িত করে হত্যা করা হয়েছে। কুমিরগুলো চলমান বন্যার মাঝে পালিয়ে গিয়ে মানুষের জীবনের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, এমন আশংকায় এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে খামারটি। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

 

এ মাসে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলজুড়ে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এসব দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ২০ জন মারা গেছেন।

 

বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তরের লামফুন প্রদেশে ভারী বৃষ্টির কারণে নাত্থাপাক খুমকাদের খামারের নিরাপত্তা বেষ্টনিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে তিন মিটার (১০ ফুট) দীর্ঘ সিয়ামিজ জাতের কুমিরগুলো পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসী ও গবাদি পশুর ওপর হামলা চালাতে পারে, এমন আশংকা দেখা দিয়েছে।

 

খামারের মালিক নাত্থাপাক বলেন, খামারের প্রাচীরগুলো বন্যার কারণে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ১২৫টি কুমিরকে মেরে ফেলতে বাধ্য হই। ‘ওরা আমাদের সঙ্গে ১৭ বছর ছিল’, যোগ করেন তিনি।

 

নাত্থাপাক জানান, তিনি ও তার কর্মীরা প্রাণীগুলোকে বিদ্যুতায়িত করে হত্যা করেন।

 

তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে, একটি ডিগার ব্যবহার করে তিনটি বড় কুমিরকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

 

মুক্ত চারণভূমিতে সিয়ামিজ কুমির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। তবে থাইল্যান্ডের অসংখ্য খামারে এ ধরনের কুমিরের চাষ বেশ জনপ্রিয়। মূলত চামড়ার জন্য এই কুমিরগুলোকে লালন-পালন করা হয়।

 

থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ ও প্ল্যান্ট কনজারভেশন বিভাগের পশু চিকিৎসক পাতারাপোল মানিওর্ন বলেন, তিনি মালিকের সিদ্ধান্তের পেছনে চিন্তা ধরতে পেরেছেন। তবে তার মতে, কুমিরগুলোকে বন্যাকবলিত নয় এমন কোন জায়গায় স্থানান্তর করা যেত।

 

তবে নাত্থাপাক বলেন, তিনি কুমিরগুলোর জন্য সাময়িক আশ্রয় পেতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু এদের বড় আকৃতির জন্য তার এই অনুরোধ মানতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

 

পাতারাপোল এএফপিকে বলেন, দুর্যোগের সময় বিপজ্জনক প্রাণীদের বিষয়টি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বোঝাতে এ ধরনের একটি শিক্ষার প্রয়োজন ছিল।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন