চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

বান্দরবানে জামাতুল আনসারের ৩২ সদস্যকে জামিন

বান্দরবান সংবাদদাতা

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৬:৩৪ অপরাহ্ণ

নতুন গজিয়ে ওঠা সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৩২ জনকে জামিন দিয়েছে বান্দরবান জেলা দায়রা জজ আদালত।

 

আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ মো. মোসলে উদ্দিন এদের জামিন মঞ্জুর করেন।

 

পাহাড়ে নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ’র আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ও জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগে গত বছর এদের বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করেছিল র‍্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। মোট চারটি মামলায় আটক দেখানো এই ৩২ জনকে আজ জামিন দেওয়া হয়।

 

এদের মধ্যে বান্দরবানের থানচি থেকে ২১ জন, রুমা থেকে ৪ জন, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ২ জন ও বান্দরবান সদর থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এদের বিরুদ্ধে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ’র আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেয়া ও বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। কেএনএফ’র সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সে সময় র‍্যাব অভিযান চালিয়ে এদের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে।

 

আটকদের মধ্যে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষক ও অর্থ শাখার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ছিল বলে সে সময় র‍্যাব গণমাধ্যমকে জানায়।

 

যারা জামিন পেয়েছেন তারা হলেন- সিলেটের মাসকুর রহমান, কুমিল্লার সালেহ আহমদ, সিলেটের সাদিকুর রহমান, কুমিল্লার বাইজিদ ইসলাম, নোয়াখালীর নিজামুদ্দিন হিরন, মাদারীপুরের আবুল বসর, সিলেটের তাহিয়াত চৌধুরী, কুমিল্লার দিদার হোসেন মাসুম, নারায়ণগঞ্জের আল-আমিন সরদার, কুমিল্লার মো. ইমরান হোসেন, কুমিল্লার মো. আসসামি রহমান, গাইবান্ধার মো. শামীম মাহফুজ, কুমিল্লার মো. আনিসুর রহমান, কুমিল্লার আহাদুল ইসলাম মজুমদার, চট্টগ্রামের মো. ইমরান হোসেন, কুমিল্লার দিদার হোসেন মাসুম, চট্টগ্রামের আবু হুরায়রা, কুমিল্লার মো. জহিরুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের ইলিয়াস হোসেন, বরগুনার সোহেল মোল্লা, মুন্সীগঞ্জের রিয়াজ শেখ, পটুয়াখালীর মো. শামীম হোসেন, পটুয়াখালীর জুয়েল মুসল্লী, বরিশালের মাহমুদ ডাকুয়া, পটুয়াখালীর ওবায়দুল্লাহ, বরিশালের আব্দুস সালাম, পটুয়াখালীর মো. আল আমিন ফকির, পটুয়াখালীর মিরাজ শিকদার, কুমিল্লার মো. সাখাওয়াত হোসেন, ঝালকাঠির মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

 

আসামি পক্ষের উকিল এডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী জানান, বিনা অপরাধে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এদের আটক করে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে আটক করে জঙ্গির তকমা লাগায়। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোন অভিযোগ না পাওয়ায় আদালত তাদের জামিল দিয়েছে।

 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ তৎপরতা শুরু করে। পরে তাদের আস্তানায় অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ নেয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সদস্যরা।

 

 

পূর্বকোণ/মিনার/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট