রাষ্ট্র সংস্কারের সাথে সাথে একটি নির্বাচনী ‘রোডম্যাপ’প্রয়োজন। এতে করে দেশের জনগণ বুঝতে পারবে দেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম একটি গণতান্ত্রিক পন্থায় যাচ্ছে। তাহলেই জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী দুর্বৃত্তের মাধ্যমে পুড়িয়ে দেয়া কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন শেষে একটি অভিজাত হোটেলে ব্রিফিংয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
গুম হওয়ার পর ভারতে নির্বাসিত থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে পাওয়া বিজয়কে অর্থবহ করতে হবে। দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে উপহার দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দলমত নির্বিশেষে গণতন্ত্রের সুফল দেশের মানুষকে ভোগ করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশ যে একটি আইনের শাসনের রাষ্ট্র তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে হবে। স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে যেন সবাই মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এছাড়া যারা আয়নাঘর বানিয়ে গুম, খুন নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের এদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। স্বৈরাচারের হাতে নির্মমভাবে গুমের শিকার হওয়া এই নেতা ছাত্র-আন্দোলনে নিহতদের কথা স্মরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ, কেন্দ্রীয় বিএনপি মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না প্রমুখ।
এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদ অগ্নিদগ্ধ জেলা বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন করেন। গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী দুর্বৃত্তের মাধ্যমে জেলা বিএনপির কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়া হয়।
পূর্বকোণ/পিআর