কক্সবাজারের টেকনাফে চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে ঘটনাস্থল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মাঠে খেলাধুলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু তাহমিনা। নয় ঘণ্টা পর শিশুর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃত শিশুর গলায় আঘাতের ধরন দেখে পুলিশ ধারণা করছে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর শিশুটির মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।
রবিবার দুপুর ১টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গুর পাড়া এলাকায় র্যাব-পুলিশ-কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে মাদ্রাসাছাত্র শিশুটির হত্যা ঘটনায় সন্দেহভাজন নুর হাফেজ (২৮) ও আল কামালকে (২৬) আটক করে। মৃত উদ্ধার তাহমিনা আক্তার (৮) একই এলাকার আব্দুল জলিলের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
মৃতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, সকালে তাহমিনা আক্তার প্রতিদিনের মতো স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়তে যায়। সকাল ১১ টায় মাদ্রাসার ক্লাশ শেষে সে বাড়ি ফিরে আসে। পরে বাড়ি থেকে প্রতিবেশী অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে বের হয়। দুপুরের পরও তাহমিনা বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সন্ধান না পাওয়ায় গাড়ি যোগে স্বজনরা মাইকিং করে প্রচারণা চালান। একপর্যায়ে রাত ৯টায় শাহপরীরদ্বীপের ডাঙ্গুর পাড়ায় রাস্তার পাশে স্থানীয়রা সন্দেহজনক একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা বস্তাটি খুলে একজন মেয়ে শিশুর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, শিশুর মা-বাবার সঙ্গে কারও কোন শত্রুতা নেই। তারপরও কারা, কি কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে। মৃতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ