চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে দুই দফায় গণপিটুনি, হাসপাতালে মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদকে দুই দফায় গণপিটুনি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়।

 

পরে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ৯টার দিকে শামীম আহমেদ মারা যান।

 

শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বঙ্গবন্ধু হলে থাকতেন। জাবি শাখা ছাত্রলীগের জুয়েল-চঞ্চল কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

 

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক এলাকায় শামীমকে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা আবারও মারধর করেন।

 

শিক্ষার্থীরা বলেন, শামীম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকায় থাকেন। আশপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে। তার বিরদ্ধে চারটি মামলাও রয়েছে। ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এজন্য তাকে মারধর করেছেন শিক্ষার্থীরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, খবর পেয়ে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ৩৯ ব্যাচের সাবেক ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে আগে যে মামলা রয়েছে, সে মামলায় তাকে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

 

ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, থানায় সোপর্দ করার পর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট