চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগ এলাকা থেকে চুরি হওয়া ১০ হাজার ৯০ পিস টি-শার্ট উদ্ধার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এসব রপ্তানি পণ্য উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন রঙ্গিপাড়ার শফি ভিলার বাসিন্দা মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মোশারফ (২৪), হালিশহর থানাধীন আগ্রাবাদ ছোটপুলে বাবুল ইনচার্জের কলোনি বাসিন্দা মো. আবু তাহের ছেলে মো. আজাদ (৩৬) এবং ডবলমুরিং থানাধীন চৌমুহনী পান্না পাড়ার লিজা ভবনের বাসিন্দা মো. ফারুক হাসানের ছেলে মো. গণি (২৯)।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর গাজীপুরের প্রতিষ্ঠান ট্রপিক্যাল নিটেক্স লিমিটেড রপ্তানির জন্য ১ হাজার ৯ কার্টনে ১০ হাজার ৯০ পিস টি-শার্ট চট্টগ্রামের কেডিএস ডিপোতে আনার জন্য এস আর কার্গো এন্ড ক্যারিয়ার থেকে একটি কাভার্ভভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৮৫৪২) ভাড়া করে। ওই গাড়ির চালকের দায়িত্বে ছিল রিয়াদ মিয়া নামের এক ড্রাইভার। তবে পণ্যবাহী ওই গাড়িটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসার পর সরাসরি ডিপোতে না গিয়ে পথিম্যধ্যে কোথাও পণ্য নামিয়ে ওই খালি গাড়িটি কেডিএস ডিপোর পার্কিংয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
তবে গাড়ির পেছনে দরজায় একটি নম্বর লেখা ছিল। সেই নম্বরে ফোন করা হলে হারুন নামের এক ব্যাক্তি জানায় গাড়ির সব পণ্য চুরি করা হয়েছে। পণ্যগুলো পেতে হলে নগদ অর্থ দিতে হবে। ওই হারুন নামের ব্যক্তি আরো উল্লেখ করে তার সাথে মাসুম এবং চশমা জামাল নামে দুজন ব্যক্তি রয়েছে। তাই এই ব্যাপারে কোন চালাকি যেন না করা হয়।
এই ঘটনা জানার পরপরই গার্মেন্টস মালিক পক্ষ, নিট পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, পুলিশ প্রশাসন তৎপর হয়ে পণ্যের খোঁজ শুরু করে। পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় নগরীর হামজারবাগ থেকে চুরি যাওয়া সব পণ্য অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. সোলায়মান পূর্বকোণকে বলেন, গার্মেন্টস রপ্তানি পণ্য চুরি হওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ তৎপর হয়ে জড়িতদের খোঁজা শুরু করে। পড়ে হামজারবাগ থেকে ওই গার্মেন্টস পণ্যগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম পূর্বকোণকে বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ডিপোতে পণ্য যাওয়ার পথিমধ্যে রপ্তানি পণ্য চুরির খবর শোনার পর পরই আমরা সহযোগিতা চেয়ে বিজিএমইএ’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এস এম ফজলুল হক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ডিআইজি মো. ছিবগাত উল্লাহ, সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ, অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ ডিবি’র ডিসি সাদিরা, বায়েজিদ থানা ও পাঁচলাইশ থানাকে অবগত করা হয়। তাঁদের তড়িৎ পদক্ষেপের কারণে প্রতিষ্ঠানটি তাদের বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং বিদেশিদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা পেয়েছে।
পুলিশি তৎপরতায় দ্রুত রপ্তানি পণ্য উদ্ধারের প্রশংসা করে আরো বলেন, এমন তড়িৎ পদক্ষেপের জন্য সকলের প্রতি বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁদের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পরিবার চিরদিন মনে রাখবে। একই সাথে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মাঠ পর্যায়ে যারা এ পণ্য উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন। তাদের মধ্যে দুজন হলেন বিএনপি কর্মী আব্দুল করিম লেলিন ও রুবেল বড়ুয়া।
পূর্বকোণ/পিআর