চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজত কর্মীদের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ওসি রফিকুল ইসলামকে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জামাই আদরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন আল-আমিন সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করা হয়। এ সময় রফিকসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তা নিশ্চিত না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কানিতে হাটহাজারী মডেল থানার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলামের নির্দেশে সরাসরি গুলি চালানো হয়েছিল। সেদিন পুলিশের গুলিতে চারজন হেফাজতকর্মী ও মাদ্রাসাছাত্র নিহতসহ অর্ধ-শতাধিক মানুষ আহত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ মাস্টার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, সহকারী মহাসচিব জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, অর্থ সম্পাদক মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমী, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, হেফাজত হাটহাজারী উপজেলা সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা রিজওয়ান আরমান, মাওলানা আবুল হাশেম, মাওলানা আনিস, মাওলানা আসাদ উল্লাহ, আবু তাহের রাজিব প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ওসি রফিককে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জামাই আদরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অথচ হেফাজত নেতা-কর্মীদের টর্চার সেলে নিয়ে ইলেক্ট্রনিক শক, হাত পায়ের নখ উপড়ে ফেলাসহ অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। যদি ওসি রফিককে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আসল ঘটনা উদঘাটন করা না হয় তবে ছাত্রজনতার নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পূর্বকোণ/খোরশেদ/জেইউ/পারভেজ