কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামের অপসারণ পূর্বক প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জাজ আদালতের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা। পরে আইনজীবীরা সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় মানববন্ধন পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট শহিদুল্লাহ ও এডভোকেট গিয়াসউদ্দিন, সহসভাপতি এডভোকেট ওমার ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মঈনুদ্দিন, এডভোকেট সোজা উদ্দিন ও এডভোকেট মনোয়ার আলম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, চকরিয়ায় আদালত ভবনের জন্য নির্ধারণ করা জায়গায় বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে ইট, বালি ও অন্যান্য মালামাল জড়ো করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ শুরু করলে, চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ জিয়া উদ্দিন আহম এবং সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে চকরিয়ায় কর্মরত আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা তাদের কাজে বাঁধা প্রদান করে এবং টিন দিয়ে অস্থায়ী ভাবে ঘেরা দিয়ে আদালতের জমি রক্ষা করা হয়। এসময় কমপক্ষে ১৫ জন আইনজীবী আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টু বলেন, ইউএনও ফখরুল ইসলাম চকরিয়ায় আসার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। অনতিবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করতে হবে। ইউএনও ফখরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে চকরিয়া আদালত এবং আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইউএনও কে অপসারণ পূর্বক প্রত্যাহার করা না হলো আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আইনজীবী নেতারা।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ কর্তৃক রেজুলেশন করে চকরিয়া আদালত ভবনের জন্য নির্ধারিত জমিতে আদালতের ভবন ছাড়া অন্যকিছু হতে দেবে না বলে জানান আইনজীবীরা।
এ ব্যাপারে ইউএনও ফকরুল ইসলাম জানান, আমি আইন পরিপন্থি কোন কাজ করিনি। উদ্দেশ্যমুলক অভিযোগ করা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।
পূর্বকোণ/এএইচ