পাহাড় কাটা রোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ । অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন ও অভিযানকালে এসব কথা বলেন তিনি।
অভিযানকালে দু’জনকে পাহাড় কাটা অবস্থায় হাতে নাতে ধরা হয়। এ সময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। এ সময় মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় অপরাধী দুজনকে জরিমানা করা হয়। এদের একজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্যজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. হাসান হাছিবুর রহমানসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. ফাহমিদা খানম বলেন, কোনো ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোনো পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ