চট্টগ্রাম বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: চবি ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চবি প্রতিনিধি

৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করার সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ৬ নেতার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদি হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন চবির আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ।

 

অভিযুক্তরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ৩য় শ্রেণির কর্মচারী মো. শরিফ উদ্দিন, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এইচটি ইমাম, উপধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জজ মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত।

 

এরমধ্যে শরিফ, আরিফ ও ইয়াছিম শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারস (সিএফসি), সাইদ উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন, এইচটি ইমাম ও মাজহারুল ইসলাম উপগ্রুপ বিজয়ের অনুসারী।

 

মামলার এজহার ও বিবাদী সূত্রে জানা যায়, ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে সাবেক স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করে। সাথে সাথে বাদীসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাত আনুমানিক ১১টা ১০ মিনিটের সময় জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ স্লোগান দিতে থাকে। এসময় উল্লেখিত আসামি ও অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন একসাথে দেশীয় তৈরি অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একের পর এক ককটেল নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ওই সময় আন্দোলনকারী ছাত্রদের দিকে আসামিরা এগিয়ে আসতে থাকলে তারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে দিক্বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। আসামিরা ওই তারিখ প্রায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টা মিনিট পর্যন্ত ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

 

মামলায় বাদী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, গত ১৪ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ককটেল হামলা করে এবং আমাদের ধাওয়া করে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আজ যদি বিপ্লব ব্যর্থ হতো তবে আমাদের স্থান হতো আয়নাঘরে। আমি চাই যারা আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

 

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট