ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৪শ’ জন মানুষকে ৪৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এসব তথ্য দিয়েছে রাজ্য সরকারের ত্রাণ, পুনর্গঠন ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যায় দুই হাজার ৩২টি স্থানে ভূমিধস হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৭ শ ৮৯টিতে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। অন্যান্য স্থানেও পুনরুদ্ধার কাজ চলমান আছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১১টি দল ও সেনাবাহিনীর ৩টি কলাম উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে। এছাড়া, বিমান বাহিনীর ৪টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪০ কোটি রূপি সহায়তা দেবে সরকার। আসাম রাইফেলস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সময় তিনশত ৩৪ জন নাগরিককে উদ্ধার করেছে। তাদের দুটি কলাম রাজ্যের অমরপুর, ভামপুর, বিশালগড় ও রামনগরে মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য শুক্রবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, শান্তিরবাজার এলাকায় অশ্বনিত্রিপুরাপাড়া ও দেবীপুরে ভূমিধসে ১০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সহায়তাস্বরূপ ১০ লাখ রূপি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তিনি এনডিআরএফ সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক সবাইকে একযোগে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক অবস্থায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকা পরিদর্শন করছি। চলমান দুর্যোগে অন্তত ১৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ