মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া সকল শহীদ পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিবে এবং শহীদ পরিবারের পাশে সব সময় রাষ্ট্র থাকবে।
শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচারকে হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছি। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে দিবনা। এই স্বাধীনতা ও বিপ্লবকে রক্ষা করতে হবে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের জনগণকে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী শহীদ মোহাম্মদ ইশমামুল হক’র কবর জেয়ারত শেষে শহীদ ইশমামের শোকাহত পরিবারের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ইশমামদের মতো যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিতে ভয় পায়নি সেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের কারণেই স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী ও তার দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা পরিষদ এবং থানা কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. সাদি-উর-রহিম জাদিদ, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইনামুল হাছান, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাজমুন লায়েল, বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুনাইদ, আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী নুরুল আলম, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইউসুফ, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এটিএম জাহেদ চৌধুরী প্রমুখ।
পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ