দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফিরেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। শৃঙ্খলার সঙ্গে পর্যটন স্পটে মানুষের চলাচল নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ৪টা থেকে কক্সবাজারের লাবনী বিচ, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী বিচসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
এতদিন পর নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা। তবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হোটেল মোটেল জোনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছাত্র-জনতা ব্যবসায়ীরা কাজ করে যাচ্ছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশের চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়ে সারাদেশে। কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আহত ও নিহত হন পুলিশের অনেক সদস্য। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় কর্মস্থলে ফিরতে অনীহা ছিল পুলিশ সদস্যদের। এতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই ভেঙে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশেষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দেয় পুলিশের আইজি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মনজুর মোরশেদ জানান, কক্সবাজার পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রস্তুত। বিভিন্ন পয়েন্টে আগের মত ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাবেন। আমাদের অনুপস্থিতে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, হোটেল মোটেল জোনে লুটপাট-ছিনতাই সহ চাঁদাবাজি হয়েছে। এতে যদি মালিক পক্ষ মামলা করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া তিনি চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন অপরাধীদের তথ্য থাকলে সবাইকে তা পুলিশকে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন না থাকায় ছিনতাইকারী বেড়েছে তা গিগগিরই দমন করা হবে এবং শহরে ময়লার স্তূপসহ নানা সমস্যা নিয়ে কউক, পৌরসভা, ডিসি অফিসসহ সংশ্লিষ্টরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদী।
এ সময় বিচ ব্যবসায়ীরা ট্যুরিস্ট পুলিশদের ফুল দিয়ে বরণ করতে ও ট্যুরিস্ট পুলিশ আগত পর্যটকদেরও ফুল দিয়ে বরণ করতে দেখা যায়।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির আবুল কাসেম সিকদার বলেন, আমাদের কক্সবাজার এখন শান্ত। পর্যটক বরণের জন্য প্রস্তুত। এছাড়া পর্যটক যাতে কক্সবাজার এসে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে থাকতে পারেন এমন ব্যবস্থা করা হবে।
পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ