চট্টগ্রাম নগরীতে গ্রাম ও অনুমোদনহীন প্রাইভেট সিএনজি টাক্সি এবং ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে আজ থেকে মাসব্যাপী অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তার রাস্তার মাথা ও বায়েজিদ থানাধীন হাটহাজারী সড়কে প্রথম দিনের অভিযানে ৪৭ টি গাড়ি আটক করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়েছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করে পূর্বকোণকে জানান আজ (৯ জুলাই) থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত নগরে গ্রাম ও অনুমোদনহীন প্রাইভেট সিএনজি টাক্সি এবং ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এই অভিযান পরিচালনা করতে সিএমপির চার ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারদের লিখিতভাবে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
কেন এই অভিযান : অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ বলেন, নিবন্ধনহীন প্রাইভেট সিএনজি টাক্সিতে করে নগরে বিগত দিনে নানা রকম অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। আবার গ্রাম সিএনজি ট্রাক্সিগুলো সিএমপির ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ কার্যক্রমের সাথে নিবন্ধিত নয়। তাই গ্রাম গাড়িগুলোতে নগরের কোন যাত্রী কোন মূল্যবান জিনিসপত্র হারালে গাড়িটি খুজেঁ বের করতে গলদগর্ম হয়। আর নগরীর অলি গলি ছেড়ে ব্যাটারি রিকশা মূলরাস্তায়ও উঠে পড়েছে। এসব রিকশায় দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এসব কিছু মাথায় রেখে বিশেষ এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
আজকের অভিযান : অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) কীর্তিমান চাকমা জানান, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের আজ যে অভিযান শুরু হয়েছে তা আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে। আজ অভিযানে ১৮টি গ্রাম সিএনজি, ১৭টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১০টি টেম্পো (ম্যাক্সিমা) ও দুইটি মোটরসাইকেলসহ মোট ৪৭ টি গাড়ি আটক করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়েছে । ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে চারজন চালকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করা হয়। উক্ত অভিযানে অংশ নেয় বাইজিদ থানার টিআই সুশোভন চাকমা, মোহরা এলাকার টি আই মো. কামরুজ্জামান রাজসহ সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সদস্যবৃন্দ।
কখন কোথায় চলবে এই অভিযান : ৯ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও বায়েজিদ থানাধীন হাটহাজারী সড়কে, ১৬ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের নতুন ব্রিজ (শাহ আমানত সেতু) এলাকায় অভিযান চলবে। ২৫ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের সিটি গেইট থেকে অলংকার মোড় পর্যন্ত এবং ৩ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত কর্ণফুলী থানার মজ্জারটেক এলাকায় এই অবিযান চলবে।
পুলিশ সদস্য ও কথিত সাংবাদিকদের নামে চলা গ্রাম সিএনজি নিয়ে যা বললেন : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, নগরে যা গ্রাম সিএনজি চলে তার ৪০ শতাংশ কিছু লোভী পুলিশ সদস্যদের নামের মাসিক চুক্তিতে অথবা নাম সর্বস্ব কিছু পত্রিকা ও অনলাইন টিভির কথিত সাংবাদিকদের স্টিকারে। অভিযানে যদি এই সব গাড়ির বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সেই সাথে জনগণ এই অভিযানে সুফল পাবে না।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ