আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি পেনশনের বিষয়ে শিক্ষক সমাজেরও আন্দোলন, কর্মবিরতি চলছে। এই দুটি কর্মসূচি চলমান অবস্থায় আমরা খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, যতটুকু জানি, কোটাবিরোধী যে আন্দোলন শিক্ষার্থীরা করছে তাদের আজকে নির্ধারত কর্মসূচি নেই, সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এমনও শুনেছি, তারা উচ্চ আদালতে তাদের পক্ষ থেকে ল’ইয়ার নিয়োগ করেছেন এবং তারা আদালতে যথাসময়ে হাজির হবেন। এটা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত, সেজন্য ধন্যবাদ জানাই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী পরিপত্র জারি করে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এতদিন সরকারি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সাতজন একটা মামলা করেন। হাইকোর্ট একটা রায় দেয়, এই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী আপিল হয়েছে। ফুল কোর্টে আমারা আশা করছি শিগগিরই শুনানি হবে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, কারণটা আইনগত, রাজনৈতিক নয়। বিএনপি সবকিছুতে রাজনীতির গন্ধ পায়। এই শহরে দৃশ্যমান একটা বিক্ষোভ মিছিল তারা খালেদা জিয়ার জন্য করেছে, এমন প্রমাণ আমাদের সামনে নেই।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বসার কথা ছিল, সেটা কবে বসবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে বসব আমরা কি বলেছি? পরে সাংবাদিকরা ‘শিক্ষকরা বলেছেন’ এমন উত্তর দিলে তিনি বলেন, এখন তারা কী বললো সেটা তো আমাদের দেখার বিষয় নয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরও তো অসুবিধার বিষয় থাকতে পারে। আমরা তাদের প্রতি কোনপ্রকার অসম্মান করছি না। আমরা তাদের আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো এর সমাধান হয়ে যাবে, এটাই আমরা আশা করি।
পূর্বকোণ/মাহমুদ