চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মূল শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে। তাই শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম শাটল ট্রেন। শাটলের জনপ্রিয়তা এতো বেশি এই ক্যাম্পাস কে বলা হয় শাটলের বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তীব্র গরমে এই শাটল হয়ে উঠেছিল শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অন্য নাম। উপরন্তু পাওয়ার কার না থাকায় ট্রেনে চলতো না কোন ফ্যান। এসব নিয়ে শিক্ষার্থীদের হতাশা ছিল চরমে।
তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ট্রেনে যুক্ত হয়েছে পাওয়ার কার। এতে ঘুরতে শুরু করেছে শাটলের ফ্যান, স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। গত সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাটল ট্রেনে এই ‘পাওয়ার কার’ যুক্ত করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর আড়াইটার ট্রেনে অন্যদিন থেকে কিছুটা আরামে যাতায়াত করছেন শিক্ষার্থীরা।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, শাটল ট্রেনের শিডিউল বাড়ানো ও পাওয়ার কার সংযুক্ত করা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে একটি ট্রেনে পাওয়ার-কার সংযুক্ত করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমেছে। আমরা আশা করছি শিগগিরই আমাদের বাকি দাবিগুলোও পূরণ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজিমুল ইসলাম বলেন, গরমে শিক্ষার্থীদের নাজেহাল অবস্থায় ‘পাওয়ার কার’ একটা স্বস্তির প্রতীক। তবে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু একটি ট্রেনে পাওয়ার কার যথেষ্ট নয়। দুটি ট্রেনেই পাওয়ার কার হলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কাটবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম পূর্বকোণকে বলেন, গত ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাটলে পাওয়ার কার লাগানো হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আরেকটি পাওয়ার কারের ব্যবস্থা করা। তবে এটি নতুন ট্রেনের সাথে দেওয়া হয়, তাই পেতে একটু সময় লাগতে পারে। তবে আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য বলেছি।
নতুন আরেকটি ট্রেনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ছয় হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রীর নিকট জমা দিয়েছি। আমরা তার নিকট নতুন ট্রেনের জন্য আবেদন করেছি। শিগগিরই আমাদের উপাচার্যের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রথম এজেন্ডাতে নতুন ট্রেনের বিষয়টি থাকবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাটল ট্রেনে পাওয়ার যুক্ত করার জন্য একটি আবেদন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট। এরপরই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া দিয়ে ঈদের পর একটি ট্রেনে পাওয়ার কার যুক্ত করার কথা জানায়।
পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ